সিংড়ার দিনমজুরের ছেলে মহসিন কলেজে চান্স পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ১৮ জুন ২০১৯ | আপডেট: ০৯:৪৯ পিএম, ১৮ জুন ২০১৯

মহসিন
সামাউন আলী সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের সিংড়ায় মহেষমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পি।এসসি জেএসসি ও এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া গরীব ও মেধাবী হতদরিদ্র দিন মজুর সোহরাব হোসেনের(৫৫) ছেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারবে কি-না সেই অনিশ্চিতায় কাটছে তার দিন।
বাবার সামান্য আয় ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের। বাড়ি ভিটার আড়াই শতাংশ জায়গা ছাড়া আর কোন জমিও নেই। অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় সকল দারিদ্রতা ও প্রতিকুলতাকে জয় করে সকল পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায়। তার স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়া। সেই আলোকে প্রচন্ড সাহস ও অদম্য নিয়ে পড়াশোনা করেছে দিনে গড়ে ১২/১৩ ঘন্টা।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান মহসিনের পিতা মোঃ সোহরাব হোসেন পেশায় দিন মজুর। সে দিন মজুরির কাজ করে সামান্য মজুরী পান। তার পরিবারের সদস্য সংখ্য ৮ জন। ৪ মেয়ে ২ ছেলে। তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে ১ কন্যা ও ২ ছেলের পড়াশোনা-ভরণপোষণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতি মাসে ধার দেনা করতে হয়। মহসিনের অন্য দু ভাই-বোন ও পড়াশুনা করছে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দারিদ্রতা, শিক্ষা উপকরনের অভাব, এমনকি খাবারের অভাব তাদেরকে কোন ভাবেই দমাতে পারেনি।

নিজ গ্রামে অবস্থিত মহিষমারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়ার পর শিক্ষণকদের সহযোগিতায় অনেক কষ্ট করে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায় এবং কলেজে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখে মহসিন। নাটোর কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ফরম তুলে সে এবং ফলাফলে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজে বিঙ্গান বিভাগে মেধাক্রম ভর্তির সুযোগ পায়। এরপর থেকেই মহসিনের পরিবার তার ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়। কী ভাবে ভর্তি হবে, কী ভাবে মেসে থাকবে, কী ভাবে তার পড়ালেখা হবে এসব চিন্তায় তার পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
মহসিন জানায়, আবাসিক ফি ও ভর্তি ফি এবং অন্যান্য যেসকল খরচাদি কী ভাবে বহন করবে তা ভেবে পাচ্ছে না। তার বাবার সামান্য আয় দিয়ে তার সংসার চলবে নাকি তার পড়াশোনা হবে। যে কোন মুল্য কলেজে ভর্তি হয়ে পরিশ্রম করে তার পড়াশোনা শেষ করতে চায় এবং হতে চায় একজন বিসিএস ক্যাডার ।
মহসিনের বাবা সোহরাব হোসেন জানান, তার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। তার পক্ষে ছেলেকে কলেজে পড়ানো অসম্ভব। তাই সমাজের বিত্তবান কেউ যদি তার ছেলের পড়াশোনার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে মহসিনের স্বপ্ন পুরণ হবে।

আশা করি সমাজের বিত্তবানরা মহসিনের পড়াশোনায় তার পাশে দাঁড়াবে।

সহযোগিতার জন্য
যোগাযোগ: সোহরাব হোসেন ( বাবা) ০১৭৮৪-৫৬৬১৫৯,০১৩০৭৯২৬৮২২
ঠিকানাঃ মহিষমারী মৃধাপাড়া ,সিংড়া ,নাটোর ।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)