ডিগ্রি স্তরে নতুন তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে সকল নিয়োগেরর ক্ষমতা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ হোক

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ০৪:১৮ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৯

ডিগ্রি স্তরে নতুন তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ

বর্তমানে পত্রিকার পাতা উল্টালেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি/নিয়োগ বাণিজ্য। বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ গুলো প্যাটার্ন বর্হিভূর্ত ভাবে বিভিন্ন সময় ডিগ্রি স্তরে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল। মানবিক দিক বিবেচনা করে সরকার ২৮/০৮/২০১৮ তারিখে অফিস আদেশে ০৪/০২/২০১০ তারিখের পূর্বে নিয়োগকৃত তৃতীয় শিক্ষক এমপিওভুক্ত করেছে।
১২/০৩/২০১৯ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের পর নিয়োগকৃত নন-এমপিও তৃতীয় শিক্ষক এর তালিকা ও নথি চেয়েছে। তাদের সর্বশেষ তথ্য/নথি অধিদপ্তর সংগ্রহ করে তা এমপিওভুক্ত করে সমাপ্ত করা।
বর্তমানে নতুন করে দেশের অধ্যক্ষ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ প্রদান বাণিজ্য এবং অনিয়ম দ্রুত বন্ধ হোক। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সচ্ছতার জন্য সকল প্রকার/স্তরের নিয়োগ সরকারি জনবল কাঠামো অনুসরণ করে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হোক। অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর বিধিমালা জারি হোক।

বর্তমান “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮” অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিক স্তরে একজন ও ডিগ্রি স্তরে একজন প্রভাষক পাবে। সে হিসাবে উচ্চমাধ্যমিক কলেজ গুলো সর্বমোট ১ জন প্রভাষক। ডিগ্রি কলেজ গুলো সর্বমোট মোট-২ জন প্রভাষক নির্ধারণ করা আছে।

সরকারের মানবিক দিক কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অবৈধ সুযোগ নিয়ে তারপরও বর্তমান বিভিন ডিগ্রি কলেজ গুলো পূর্ণরায় নতুন তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন বিভিন্ন পত্রিকায় দিচ্ছে। এসব তৃতীয় শিক্ষক এর এমপিও না হলে তার দায় কে নিবে? অধ্যক্ষ না সভাপতি না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়?
যদি কখনও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কলেজকে বেতন দিতে বললে বলবে কলেজের নিজস্ব বেতন দেবার আর্থিক সামর্থ্য নেই। তারপর ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে না পারে এজন্য নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে নিয়োগকৃত শিক্ষকের নিকট হতে নিয়োগপত্র দেবার সময় অগ্রিম স্বাক্ষর করে অধ্যক্ষ নিজের জিম্মায় রেখে দেয়। এ ধরনের ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ পরবর্তীতে যখন বছরের পর পর বিনা বেতনে মানবেতর জীবন যাপন করবে তখন এমপিওভুক্ত করার জন্য পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা করে। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাঘাত ঘটে। যা কাম্য নয়।
কোন কোন অধ্যক্ষ অনার্স বা মাস্টার্স স্তরের পাঠদানের শিক্ষককে ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় শিক্ষক হিসাবে এমপিও করার পায়তারা করে আসছে। তবে মন্ত্রণালয় ও ডিজি অফিস সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধি চিঠি ডকুমেন্ট/নথি দেখে ধরা পড়ছে। কারণ ডিগ্রি স্তরে তৃতীয় শিক্ষক পদ ও অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষক নিয়োগ তা এক নয়।

অবিলম্বে জনস্বার্থে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষা করতে ও অধ্যক্ষের অনিয়মের হাত হতে শিক্ষিত বেকারদের মুক্তি দিতে এবং দুনীতি বন্ধ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মামলা-মোকদ্দমা হতে রক্ষা পেতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের শূন্য পদ ও সৃষ্টপদ ইতিপূর্বে নিয়োগ আছে তবে এমপিও হয়নি তাদের দ্রুত এমপিওভুক্ত করা। এছাড়া বর্তমান ১২/০৬/২০১৮ তারিখের জনবল কাঠামো জারির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের শূন্য পদ বা সৃষ্ট পদ নিয়োগ প্রদানের একক ক্ষমতা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কে দিতে দ্রুত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ হতে দেশের সকল উপজেলা-জেলায় শিক্ষা অফিস, স্কুল ও কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা/ডিগ্রি কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দেশনা/অফিস আদেশ জারি এবং প্রেরণ করা দরকার।

(মতামত)

মো. রুহুল আমিন।
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট।

 

( মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয় )


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)