বদলি বেসরকারি শিক্ষকদের প্রাণের দাবি
নিজস্ব প্রতিনিধি ||
এনটিআরসিএ সীগ্রই শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করতে যাচ্ছে। এ গণবিজ্ঞপ্তির আগেই বদলি কার্যকর করার দাবি বেসরকারি শিক্ষকদদের।
বদলিতে সরকারের কোন ব্যয় নেই। বাড়তি কোন অর্থ ব্যয় ছাড়াই বদলি বাস্তবায়ন করা সম্ভব: এমনটাই মনে করেন বদলি প্রত্যাশী বেসরকারি শিক্ষক সমাজ। বর্তমান সরকার বেসরকারি শিক্ষার উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের চিন্তা ভাবনা ও তারা করছেন। যা বাস্তবায়নে সরকারের বাড়তি কিছু অর্থেরও প্রয়োজন। তা সত্বেও বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এমন কিছু বিষয় আছে যা বাস্তবায়ন করতে সরকারের বাড়তি কোন অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হবেনা অথচ এর সুফল অনেক এবং সুদূর প্রসারি। যা বাস্তবায়ন করতে সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য: বেসরকারি শিক্ষকদের স্ব স্ব একাউন্টে তাদের বেতন ভাতা দেয়ার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারেরই। এর আগ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগন তিন/ ছয় মাসের বেতন একত্রে পেতেন। এক্ষেত্রে কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কর্তৃপক্ষের অবৈধ হস্তক্ষেপে শিক্ষকরা তাদের বেতন ভাতা পুরোটা হাতে পেতেন না। নানান ভাউচার দেখিয়ে তাদের বেতন থেকে কেটে রাখা হতো। শিক্ষকরা তাদের কাছে অসহায় ছিল। তখন ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। তারা শিক্ষকদের মনকষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তারা শিক্ষকদের স্ব স্ব একাউন্টে বেতন ভাতা দেয়ার ব্যাবস্থা করেন। এতে সরকারের বাড়তি কোন অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হয়নি। অথচ সুনাম সুখ্যাতি হয়ছিল অনেক। দেশের এমন কোনো শিক্ষক ছিলেননা যিনি সরকারের প্রশংসা করেননি। আজও বেসরকারি শিক্ষক সমাজ এ মহান কাজটির জন্য তাদেরকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন।
দেশের সরকারি বেসরকারি সকল সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলি ব্যবস্থা চালু আছে। অথচ বেসরকারি শিক্ষকরা আজীবন একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে আসছেন। তাদের কোন বদলির ব্যবস্থা নেই। এতে ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এসব সমস্যা সমাধানে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি অতীব জরুরী। অথচ এর জন্য বাড়তি কোনো অর্থের প্রয়োজন নেই। শুধু প্রয়োজন সরকারের একটু সদিচ্ছার। তাই এনটিআরসিএ কর্তৃক গণবিজ্ঞপ্তির পূর্বেই বদলি বিষয়ক নীতিমালা জারি পূর্বক বদলি কার্যকর করার দাবি শিক্ষকদের। বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লেখক:
মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন
প্রভাষক,
জিরাইল আজিজিয়া ফাজিল মাদরাসা
বাকেরগঞ্জ, বরিশাল।