সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় করণীয়

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ১০:৪১ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় করণীয়
বেসরকারি এসএসসি ভোকেশনাল জনবল কাঠামো অনুয়ায়ী দুটি ট্রেডের প্রতিষ্ঠানসমূহে একজন করে সুপারিনটেনডেন্ট, সহ-সুপারিনটেনডেন্ট, সহ-গ্রন্থাগারিক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, বিজ্ঞান ল্যাব সহঃ, নৈশপ্রহারী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, আয়া রয়েছে, ট্রেড ইন্সট্রাক্টর চার জন (প্রতি ট্রেডে দুজন), সহকারী শিক্ষক ১০ জন (বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, কৃষি, শরীরচর্চা, কম্পিউটার, ধর্মশিক্ষা), ল্যাব/শপ সহঃ দুজন (প্রতি ট্রেডে একজন) মোট ২৪ জন জনবল রয়েছে, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ১১, শুধু ট্রেড বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ৪০। নীতিমালা অনুযায়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে সপ্তাহে গড়ে ২৬টি ক্লাসের লোড নিতে হয়, কিন্তু কারিগরি শাখায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও কৃষি শিক্ষকদের সপ্তাহে ছয়টি, সমাজ বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও কম্পিউটার শিক্ষকদের সপ্তাহে চারটি, ধর্ম ও শরীরচর্চা শিক্ষকদের সপ্তাহে মাত্র দুটি করে ক্লাস লোড নিতে হয়। পক্ষান্তরে যাদের নিয়ে মূল আয়োজন সেই ট্রেড ইন্সট্রাক্টরদের সপ্তাহে কমপক্ষে ২৪টি করে ক্লাস নিতে হয়, যা অমানবিক। সাধারণ শিক্ষকদের ক্লাস লোডের অনুপাত হিসাব করলে প্রতিটি ট্রেডে কমপক্ষে আটজন করে ট্রেড ইন্সট্রাক্টরের পদ হলে সপ্তাহে ছয়টি করে ক্লাস লোড পেত। তাই এই বঞ্চনা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অষ্টম গ্রেডের একজন সিনিয়র ট্রেড ইন্সট্রাক্টরের পদ সৃষ্টি করে ট্রেডের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে, এ ক্ষেত্রে একজন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর সপ্তাহে ১৬টি করে ক্লাস লোড পাবেন এবং ট্রেড বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১ : ২৭। একই সঙ্গে সংযুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে ভোকেশনাল শাখার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিবা ও প্রভাতি শাখার জন্য সহ-প্রধান শিক্ষক (ভোকেশনাল) সৃষ্টি করার প্রয়োজন ছিল। এ ক্ষেত্রে ২০২২ সালের নতুন শিক্ষা কাঠামো অনুযায়ী বিভাগ উঠে যাওয়ায় পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে শুধু বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগ এবং কৃষি পদটি বিলুপ্ত করা যেতে পারে, ফলে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা বেসরকারি শিক্ষকদের দিক থেকে আর্থিক ও অন্যান্য দিক থেকে অনেকটা ভালো থাকলেও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় নিমজ্জিত। টিএসসিসমূহে শিক্ষক সংকটের কারণে একজন শিক্ষককে সপ্তাহে প্রতি শিফটে গড়ে ২৮টির ওপরে ক্লাসের লোড নিতে হয়। এ ছাড়া ২য় শিফট থাকার কারণে শিক্ষকরা সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে নিজ বাসস্থান থেকে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে আসতে হয় এবং রাত ৭টা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করে পরিবারের সদস্যদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করে বাসস্থানে ফিরতে রাত ৮টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়। ফলে তাদের পরিবারের সদস্য ও সমাজের প্রতি কোনো সময় বা দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তার ওপরে নতুন করে টিএসসিসমূহে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করার ফলে শিক্ষকদের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ক্লাস লোড আরো বেড়ে গিয়েছে। ২০২১ সাল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত জেএসসি ভোকেশনাল কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে প্রতিটি টিএসসিতে একই সঙ্গে ব্যবহারিক ক্লাসসহ ৩৬টি শ্রেণিকক্ষে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে, যা বর্তমান ২১ জন শিক্ষকের জনবল কাঠামো দ্বারা পরিচালনা করা সম্ভব নয় আর যদি বর্তমানের সময়ের মতো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে গড়ে ১২ জন শিক্ষক কর্মরত থাকেন, সে ক্ষেত্রে এই জনবল দ্বারা শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে গেলে একজন শিক্ষককে একই সঙ্গে দুই থেকে তিনটি শ্রেণিতে প্রজেক্টরের সাহায্যে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বর্তমানে ভোকেশনাল শিক্ষাক্রমের এসএসসি, এইচএসসির উভয় শিফট ও প্রকৌশল ডিপ্লোমা মিলিয়ে মোট সব শিক্ষাবর্ষে এলরোলমেন্ট ৬০১৬০-এর বিপরীতে সাধারণ ও ট্রেড বিষয়ে চিফ ইন্সট্রাক্টর, ইন্সট্রাক্টর, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর রয়েছেন ৮৪০ জন, এ ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ৭২, শুধু ট্রেড বিষয়ের শিক্ষক সংখ্যা ৬০৫ জন, এ ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ১০০। টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন জনবল কাঠামো অনুযায়ী চিফ ইন্সট্রাক্টর, ইন্সট্রাক্টর, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর থাকবে ১৪৪০ জন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ৪২। শুধু ট্রেড বিষয়ের শিক্ষক সংখ্যা ১১২০ জন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ৫৪। কিন্তু বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মানসম্মত অনুপাত হচ্ছে ১ : ১২। এ ছাড়া শুক্রবারসহ বিভিন্ন বন্ধের দিনেও শিক্ষকদের বেসিক ট্রেডে পরীক্ষাসহ স্থানীয় পর্যায়ের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও প্রকৌশল ডিপ্লোমা স্তরে পৃথক পৃথক জনবল কাঠামো তৈরি করতে হবে।

২০২২ সাল থেকে যে নতুন শিক্ষাপদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হলে জেএসসি ভোক স্তরে প্রতি সপ্তাহে ক-গ্রুপে বাংলা, ইংরেজি ৪টি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ৩টি, খ-গ্রুপে ধর্মশিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি, ডিজিটাল প্রযুক্তি ১টি ও গ-গ্রুপে ট্রেড ৮টি করে ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে পারে। একইভাবে এসএসসি ভোক স্তরে প্রতি সপ্তাহে ক-গ্রুপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ৩টি, সামাজিক বিজ্ঞান ২টি, খ-গ্রুপে ধর্মশিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি, ডিজিটাল প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং (নবম)/ আত্মকর্মসংস্থান (দশম) ১টি ও গ-গ্রুপে ট্রেড ২০-২১টি করে ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ক ও গ-গ্রুপের বিষয়সমূহে ৫০ ভাগ নম্বর ধারাবাহিক ও ৫০ ভাগ নম্বর চূড়ান্ত পরীক্ষায় এবং খ-গ্রুপের বিষয়সমূহে ১০০ ভাগ নম্বর ধারাবাহিক পরীক্ষায় বরাদ্দ থাকবে। তাই জনবল কাঠামোতে প্রতি শিফটে ননটেক বিষয়ে একজন চিফ ইন্সট্রাক্টর পদ সৃষ্টি করে প্রতি ২ ট্রেডের জন্য তিনজন ইন্সট্রাক্টর (বাংলা/ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান/রসায়ন, গণিত/ জীববিজ্ঞান), ৯ জন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (ক-গ্রুপ : বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান/রসায়ন, খ-গ্রুপ : শরীরচর্চা, কম্পিউটার, ধর্মশিক্ষা, ম্যানেজমেন্ট) পদ সৃষ্টি করতে হবে। ট্রেডের সংখ্যা ২-এর অধিক হবে ইন্সট্রাক্টর ও জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (ক-গ্রুপ) আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে। ননটেক ইন্সট্রাক্টরদের ক্ষেত্রে একই বিষয়ে একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরের (খ-গ্রুপ) পদ ছয়টি ট্রেড পর্যন্ত একজন করেই থাকবে, এ ক্ষেত্রে একজন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরের সর্বোচ্চ ১৫ ক্লাস লোড পাবে। জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে ট্রেডসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ২০। প্রতিষ্ঠানে যেকোনো ধর্মীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ বা ততোধিক হলে সেই ধর্মের জন্যও একজন করে শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা যেতে পারে। প্রতিটি স্তরে ট্রেডের জন্য পৃথক জনবল কাঠামোর প্রয়োজন, এ ক্ষেত্রে প্রতিটি শিফটে একজন চিফ ইন্সট্রাক্টর পদ রেখে জেএসসি স্তরে দুজন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদ হলে সপ্তাহে ১২টি করে ক্লাস লোড হবে এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ৬০। এসএসসি স্তরে তিনজন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদ হলে সপ্তাহে ১৪ করে ক্লাস লোড হবে এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ২৭। এইচএসসি স্তরে একজন ইন্সট্রাক্টর ও দুজন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদ হলে সপ্তাহে ১৪ করে ক্লাস লোড হবে এবং এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ২৭। এ ছাড়া ¯স্নাতক স্তর চালু হলে ট্রেড বিষয়ে দুজন ইন্সট্রাক্টর ও দুজন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরের পদ ও স্নাতকোত্তর স্তরে চালু হলে ট্রেড বিষয়ে দুজন ইন্সট্রাক্টর ও দুজন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরের পদ সৃষ্টি করতে হবে। প্রতিটি স্তরে দুজন করে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর (শপ ও টিআর) পদ সৃজন করা যেতে পারে। স্নাতক স্তর চালু হলে সাধারণ আবশ্যিক বিষয়ে চারটি ট্রেডের জন্য পাঁচজন ইন্সট্রাক্টর (বাংলা, ইংরেজি, বিদেশি ভাষা-দুজন-প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, ইতিহাস), নৈবার্চনিক বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগে তিনজন করে অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স বিভাগে-পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, এগ্রিকালচার সায়েন্স বিভাগে-উদ্ভিদ বিজ্ঞান/প্রাণী বিজ্ঞান/ কৃষিশিক্ষা/মৃত্তিকা বিজ্ঞান, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগে-হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স পদ সৃষ্টি করতে হবে। বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দুটি করে বিদেশি ভাষা চালু করা যেতে পারে, তার মধ্য থেকে একজন শিক্ষার্থীকে ১০০ নম্বরের একটি ভাষা নির্বাচন করতে হবে। প্রাচ্য ভাষা হিসেবে আরবি, জাপানি, কোরিয়ান, চাইনিজ, মালয় ও পাশ্চাত্য ভাষা হিসেবে ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, স্প্যানিশ ভাষা নির্বাচন করা যেতে পারে। ট্রেডসংখ্যা যা হোক না কেন স্নাতকোত্তর স্তরে সাধারণ বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে দুজন করে ইন্সট্রাক্টরের পদ সৃষ্টি করতে হবে।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দিবা শিফট ও প্রভাতি শিফটে পৃথক দুজন উপাধক্ষ্যের পদ সৃষ্টি করে প্রতিটি শিফটে পৃথক জনবল কাঠামো সৃষ্টি করতে হবে, একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশল ডিপ্লোমা শিক্ষাক্রম পরিচালনা করা হলে অতিরিক্ত একজন উপাধ্যক্ষ (ডিপ্লোমা প্রকৌশল) পদ সৃষ্টি করে পৃথক জনবল কাঠামো তৈরি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতি শিফটে ননটেক বিষয়ে একজন চিফ ইন্সট্রাক্টর পদ সৃষ্টি করে প্রতি দুটি টেকনোলজির জন্য দুজন ইন্সট্রাক্টর (পদার্থ বিজ্ঞান/রসায়ন, গণিত), তিনজন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (বাংলা/ইংরেজি, কম্পিউটার, ম্যানেজমেন্ট/সামাজিক বিজ্ঞান) পদ সৃষ্টি করা যেতে পারে এবং টেকনিক্যালসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ২০। এ ক্ষেত্রে প্রতি সেমিস্টারে সাধারণ শিক্ষকরা ১৪টি ক্লাস লোড পাবেন এবং টেকনোলজির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও একই বিষয়ে একাধিক শিক্ষক প্রাপ্য হবেন না। টেকনিক্যাল বিষয়ের জন্য প্রতি টেকনোলজিতে একজন চিফ ইন্সট্রাক্টর, তিনজন ইন্সট্রাক্টর ও পাঁচজন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টরের পদ সৃষ্টি করা যেতে পারে এবং শুধু টেকনিক্যাল বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ২৭। এ ক্ষেত্রে প্রতি সেমিস্টারে টেকনিক্যাল শিক্ষকরা ১২টি ক্লাস লোডপ্রাপ্য হবেন এবং অষ্টম সেমিস্টারে তিনজন টেকনিক্যাল শিক্ষক সার্বক্ষণিক শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। উপরোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক সংকট দূর করা সম্ভব হবে।

লেখক : প্রকৌশলী রিপন কুমার দাস
ট্রেড ইন্সট্রাক্টর,
ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
পটুয়াখালী
ripan.edu48@gmail.com


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)