বেসরকারী শিক্ষা জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা বেশিকদের

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ২২ জুন ২০১৯

শেখ হাসিনা
দেশ যখন দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ যখন ২০১৯/২০ বাজেট আলোচনায় মুখরিত!ঠিক এমনি এক মহেন্দ্রক্ষণে শুধু বঞ্চিত থাকার আশংকায় বেসরকারী শিক্ষক সমাজের চোখে মুখে হতাশা কালো মেঘ।যাদের বেতনের শতভাগ সরকার বহন করে, সাথে হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ২৫% উৎসব ভাতা,৫% ইনক্রিমেন্ট ও ২০ % বৈশাখী ভাতা,কল্যান ভাতা ও গ্র্যাচুইটি প্রদান করেন বর্তমান সরকার।যদিও আমাদের থেকে ১০% কেটেও রাখা হয়। এতো কিছু দেওয়ার পরে আর সমান্য কিছু দিয়ে জাতীয়করণ করলে সরকারের অবদান শতগুনে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এতো কিছু দোওয়ার পরেও বেসরকারী নামটা শুধু বেমানানই নয় বরং তামাশার বটে।

এখন যে সকল অপ্রাপ্তি শিক্ষক সমাজকে হতাশায় নিমজ্জিত করে রেখেছে, সেগুলো একটু দেখি আসলে তা দিতে সরকারের পক্ষে কতটা সামর্থ্য আছে বা নাই। ১০% কর্তন পরিহার করা,৪৫% বাড়ি ভাড়া দেওয়া,শতভাগ উৎসব ভাতা, দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা, ও বদলী ব্যবস্থা চালু করলেই সকল প্রতিষ্ঠান সরকারী করা সম্ভব।

এগুলো দিতে সরকারের যে আর্থিক সামর্থ্য প্রয়োজন তা অনস্বীকার্য। কিন্তু এই অর্থ সংকুলান শুধু সরকারী কোষাগার থেকে দেওয়ার প্রয়োজনও নাই। এই আর্থিক সংকুলানের জন্য বেশিরভাগই যোগান দেওয়ার সামর্থ্য আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল আয় এবং সাধারন তহবিল বুঝে নিলে সরকার সামান্য অর্থ ব্যয় করলেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের মত মহান কাজটি খুব সহজেই করতে পারেন।

এই সহজ কাজটি সরকার করতে পারছেন না কেনো? আসলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট আমলারা আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, দেশ রত্ন শেখ হাসিনকে ভুল বুঝিয়ে চলেছেন যেনো জাতীয়করণ করলে সরকারের কোষাগারের সকল অর্থ জাতীয়করণেই শেষ হয়ে যাবে। এই আমলারাই প্রধানমন্ত্রীকে একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত ও উন্নত দেশ বিনির্মানের কাজ পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।হয়তো আমার এই লেখা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসবে না। তাও লিখলাম যদি ভুল করে জননেত্রীর নজরে একবার এসে যায় তাহলে হয়তো তিনি সকল শিক্ষা ব্যাবস্থা জাতীয়করণে আর কাল ক্ষেপন করবেন না বলে আমি বিশ্বাস করি। আর সেই আশা বুকে নিয়েই আমার আজকের এই লেখাটি।লেখাটি যে সকল বেসরকারী শিক্ষক সম্প্রদায়ে পড়বেন আপনাদের একটু বেশি বেশি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রাখলাম।

পরিশেষে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখহাসিনার নিকট সকল বেসরকারী শিক্ষক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করবো অতি দ্রুত শিক্ষকদের প্রাণের দাবি জাতীয়করণ বাস্তবায়ন করবেন।শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য, শিক্ষবৃত্তি,বই বিতরণ, সকল পরীক্ষার ফিস,শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিস, প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান,আইসিটি ল্যাব স্থাপন,দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরী করতে বিদেশী প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা,সকল শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা যে সরকার এতো কিছু করতে পারে শুধু সেই সরকারই পারে গোটা শিক্ষা ব্যাবস্থা জাতীয়করণ করে, শিক্ষা ব্যাবস্থার সকল বৈষম্য দুর করতে।। এই বিশ্বাস রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুসাস্থ্য কামন করে আজকের মতে শেষ করছি।

মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন(আপন),
সাধারন সম্পাদক,
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (নজরুল),
চট্টগ্রাম বিভাগ।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)