কর্তন কর্তন খেলা বন্ধ করে যা খুশি কিনুন এবং যা খুশি গড়ে তুলুন

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ১১:৩৩ পিএম, ১৬ মে ২০১৯

মোঃ আবুল হোসেন
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল স্কেলের কর্তন বন্ধ করে অবসর ও কল্যান তহবিলের কল্যান করুন। ভোগান্তির অবসর ও কল্যান তহবিলের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। যে অবসর ও কল্যান তহবিল শিক্ষকদের কল্যানে আসতে বছরের পর বছর দৌড় ঝাপ পাড়তে হয় এমন অবসর ও কল্যান তহবিলের প্রয়োজন কি?
অবসর ও কল্যান তহবিলের টাকার হিসেব যেহেতু সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। দেখা দেয় টাকার সংকট তাহলে কর্তন কেন?
ফাইল আছে টাকা নাই এমন কর্তনের দরকার নাই।

হাসপাতাল করুন আর শিক্ষা কমপ্লেক্স করুন আগে কর্তন বন্ধ করুন। শিক্ষকদের নিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য আগে পেনশন প্রথার ব্যবস্থা করুন।
চাকরির শেষ সময়টুকু সুস্থ ভাবে বাঁচতে দিন। কর্তন নামে অকল্যান বন্ধ করুন।
পারলে কর্তন বন্ধ করে শিক্ষকদের কল্যানে এগিয়ে আসুন। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে এমনিতেই বিভিন্ন দিক দিয়ে চরম বৈষম্যের স্বীকার।পারলে বৈষম্য দূরীকরণের ব্যবস্থা করুন।

শিক্ষক সমাজ শান্ত তাদেরকে করবেন না অশান্ত। শান্ত যদি অশান্ত হয় শিক্ষার পরিবেশ হবে বিনষ্ট। অন্য যেকোনো পেশায় কর্তন ছাড়াই পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে । বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় কর্তন ছাড়া কি কল্যান করা যায় না? শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত পারলে পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করুন।

সরকারি ন্যায় বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, বদলি, সন্তানদের শিক্ষা ভাতা এবং পেনশনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করুন।
সাধুবাদ জানাই অবসর ও কল্যান তহবিলের আয়ের উৎস নিয়ে কাজ করার জন্য। এই আয়ের উৎস অবসর ও কল্যান তহবিল নামে নয় পেনশনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করুন। পেনশন ছাড়া চাকরির শেষে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সময়টুকুর নিশ্চয়তা নেই। শিক্ষকদের শেষ সময়টুকু মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় তা থেকে শিক্ষকদের রক্ষা করুন।

শিক্ষকরা চাকরি শেষ হবার পর আর কি করে জীবীকা নির্বাহ করবে বলুন?
তাই বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। পরিশেষে কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত অনুরোধ এই যে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসরপ্রাপ্তের শেষ সময়টুকু সুস্থ ভাবে বাঁচার ব্যবস্থা করুন।

লেখক ও কলামিস্টঃ
মোঃ আবুল হোসেন
সিনিয়র যুগ্ম -মহাসচিব
বাশিস (নজরুল)

( মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয় )

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)