অনৈক্যই বেশিকদের দাবি আদায়ে প্রধান বাঁধা

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ১১ মে ২০১৯

মোঃ আবুল হোসেন
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক সমাজের এ মুহুর্তে প্রয়োজন সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের ডাক দেওয়া। ঐক্য ঐক্য ঐক্য চাই ঐক্য ছাড়া গতি নাই। এই আওয়াজ তুলে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক সংগঠন গুলোর মধ্যে অনৈক্যের কারণে আজ আমরা পিছিয়ে পড়েছি দাবি দাওয়া নিয়ে।
উপর মহল সেই সুযোগই নিচ্ছন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের ওপর। বাংলাদেশের অন্য কোন পেশায় এত বিভাজন নেই। শুধুএমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে যত বিভাজন। সবাই তার নেতৃত্ব ধরে রাখার জন্য মরিয়া কিন্তু শিক্ষকদের স্বার্থে নয়। যদি এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক সমাজ এক হতে পারত তাহলে আমাদের দাবি দাওয়া সরকার মেনে নিত বাধ্য ছিল। সরকার জানে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকরা কখনো এক প্লাটফর্মে আসবে না। আর দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাইতো এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন শুরু করল অবসর ও কল্যান তহবিলের নামে বাড়তি কোনো সুযোগ সুবিধা ঘোষণা না করে।পূর্বে যে সুযোগ সুবিধা পেত অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনে ও সেই সুযোগ সুবিধা বহাল থাকছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দিয়ে আবার ৪ শতাংশ কর্তন করা। বাকি রইল বোনাস হিসেবে ১ শতাংশ। তবুও এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক সমাজের হুস হলো না। রয়েই গেল নিজের সংগঠনের অস্তিত্ব ধরে রাখার প্রতিযোগিতায়। দাবি আদায়ে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে সেটা ভুলে গিয়ে। আমরা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকরা বিভাজিত কেন ? সংগঠন ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দাবি মোদের এক তাহলে সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেন ঐক্য করে আন্দোলনের ডাক দেয় না? ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামলে আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। দাবি আদায় হবে ১০০ ভাগ। কিন্তু দুঃখের বিষয় কেউ এগিয়ে আসে না।

বিভক্ত ভাবে আন্দোলন করে সফলকাম হওয়া যাবে না। আসুন আমরা সকল নেতৃবৃন্দ একপ্লাটফর্মে এসে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব নাএই পণ করি। আমাদের মধ্যে এই মুহুর্তে বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন। ঐক্য ছাড়া আমরা কোন কিছুই আদায় করতে পারব না। আমাদের অনৈক্যের কারণে কিছু লোক এর সুবিধা নিচ্ছে। তার জন্য আজ আমরা কর্তনের স্বীকার। এবারও যদি না বুঝেন তাহলে কিছুই করার থাকবে না। নিজ অধিকার নিজেকেই আদায় করতে হবে। কেউ আদায় করে দিবে না। আমাদের দুর্বলতার কারণে অন্যরা তার সুযোগ নিবে এটা মেনে নেয়া যায় না। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (নজরুল) ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। অন্যান্য সংগঠন গুলোর নেতৃবৃন্দের প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনারা ঐক্য করার জন্য এগিয়ে আসুন এবং বৃহত্তর ঐক্য গঠনে সহযোগিতা করুন। একার পক্ষে দাবি আদায় করা কখনো সম্ভব নয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দাবি আদায় সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
আশা করি অতীতকে ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য এগিয়ে আসবেন।

লেখক ও কলামিস্টঃ
মোঃ আবুল হোসেন
কুকুটিয়া কে,কে, ইনস্টিটিউশন
শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাশিস ( নজরুল)

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)