বেসরকারি ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীদের দুঃসময় যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | আপডেট: ১১:১২ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

মোঃ নজরুল ইসলাম রনি

বেসরকারি ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীদের দুঃসময় যাচ্ছে।১০০০টাকা বাড়ী ভাড়া,৫০০টাকা চিকিত্সা ভাতা এবং ২৫% ঈদবোনাস আর সামান্য বেতন দিয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির এসময়ে শিক্ষকদের দিন আর চলছেনা।শিক্ষকদের বাড়তি আয়ের কোন সুযোগ নেই।অভাব-আর অনটন ঘোচানোর জন্য যারা প্রাইভেট পড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করতো, বর্তমান সময়ে সেই পথও অবরুদ্ধ।অনেক শিক্ষকই জীবন যুদ্ধে ব্যর্থ হয়ে অন্য পেশায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।পৃথিবীর সব দেশেই শিক্ষকদের সম্মান ও বেতন বেশি।বাংলাদেশ ই এমন এক দেশ,যেখানে শিক্ষকদের প্রকৃত সম্মান নেই এমনকি তাদেরকে যথাযথভাবে বেতন দেওয়া হয়না।

শিক্ষকদের মাঝে রয়েছে আকাশছোঁয়া বেতনবৈষম্য।প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক নন এমপিওভুক্ত।যারা কম পক্ষে ১৫/২০ বছর বিনা বেতনে চাকরি করছে।জীবনের সোনালী দিন গুলো ছাত্রদের পড়িয়ে শেষ করেছে।হয়তো বয়স শেষ,অন্য কোথাও চাকরি নিতে পারছেনা।দীর্ঘ আন্দোলন করে এমপিওভুক্ত র আশ্বাস পেয়েও সোনার হরিণ ধরতে পারছেনা।
সামাজিক মর্যাদা নেই বললেও চলে।ছাত্ররা শিক্ষকদের কে এখন সম্মান দিয়ে কথা বলেনা।কারণ পরিবার থেকে সন্তানরা সঠিক শিক্ষা পায় না।শিক্ষার গুণগত মান এখন কমেছে।এর কারণ ছাত্ররা বই পড়ে না।পড়া আদায়ে সরকার কোন নির্দেশনা দেয়নি।সরকারী নির্দেশনা রয়েছে- ছাত্রদের মারধোর করা যাবে না,মনে কষ্ট লাগে এমন কিছুও বলা যাবেনা।পড়া আদায়ের কৌশল বলে দিলে ভালো হতো।
বেতন বৈষম্য দূর করতে “এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণ ঘোষণা করতে হবে”।তাহলে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ঘটবে।
হাত পা বেঁধে শিক্ষকদের কে পুকুরে ফেলে -সাঁতার কাটতে দিয়ে কোন লাভ নেই।মোঃ নজরুল ইসলাম রনি
সভাপতি
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও মুখপাত্র
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)