ঐচ্ছিক বদলি চালু হলে যে পরিবর্তন আসবে

আজিজুর রহমান
আজিজুর রহমান,
প্রকাশিত: ০৯:২০ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি বাস্তবায়ন কমিটি
মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি ||
সীমাহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থা চালু একান্ত জরুরী। শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশ নিম্নগামীর পরিবর্তে ঊর্ধ্বগামী করতে, বিশ্ব মানের শিক্ষা অর্জন করতে বদলি ব্যবস্থা চালুর বিকল্প নেই।স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মুলক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ২০২০সালের জানুয়ারি থেকে সরকারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনলাইনে সফটওয়্যার মাধ্যমে বদলি পদ্ধতি চালু করতে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় সিনিয়র সচিব (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) সহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি। বদলি ব্যবস্থা চালু হলে যে সুবিধাগুলো নিশ্চিত হবে———
১।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ হবে২।শিক্ষকদের মধ্যে গতিশীলতা আসবে ৩।শিক্ষকরা স্থানীয় পলিটিক্স এ জড়াতে পারবে না ৪। এ সি আর চালু করা সহজ হবে।৫। শিক্ষকদের প্রাইভেট - কোচিং বন্ধ হবে।৬। শিক্ষার মান বাড়বে। ৭। ম্যানেজিং কমিটির নির্যাতন কমবে । ৮। ভালো শিক্ষকের কদর বাড়বে ।৯। শিক্ষকতায় ভালো শিক্ষক আসবে। ১০। ভালো- মন্দ শিক্ষক বদলির মাধ্যমে শিক্ষার মান সমন্বয় করা সম্ভব হবে। ১১। দেশের সব প্রতিষ্ঠানের মান প্রায় সমান হবে। ১২। শিক্ষকরা রাজনীতিমুক্ত থাকতে পারবে। ১৩। শিক্ষকদের শাস্তিমূলক বদলী করা সহজ হবে। ১৪। শিক্ষকদের কর্মততপরতা বাড়বে।১৫।শিক্ষকদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে ও একাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পাঠদান বিষয়ক আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবে।১৬।শিক্ষকদের চাকরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।১৭।ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অযাচিত হস্তক্ষেপ, বহিষ্কার ও চাকরীচ্যুত কমবে।

বদ‌লি চালু হ‌লে প্র‌তিষ্ঠা‌নের একনায়কতন্ত্র, নৈরাজ্য, শিক্ষা বা‌ণিজ্য বন্ধ হ‌বে,শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে ও সরকারের কোন বাজেট বরাদ্দ করতে হবে না।
বদলি ব্যবস্থা না থাকায় চাকরির নিরাপত্তা নেই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু শিক্ষক দুর্নীতি, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছেন। আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশে বদলি ছাড়া এরকম কার্যক্রম চলতে পারে না। একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে অনেকে ভর্তি বাণিজ্য, কোচিং বাণিজ্য ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত হচ্ছেন; যা সকল শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হ-য-ব-র-ল অবস্থায় চলছে। কিছু শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে গড়ে ওঠছে বিভিন্ন সিন্ডিকেট। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা, গাইডবুক ও নোটবাণিজ্য করার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পেছনে শ্রম ও মেধা দিতে অনিহা বা ব্যর্থ হচ্ছেন।

বদলি বাস্তবায়ন কমিটি বদলির দাবিতে কাজ করছে।সকল বদলি প্রত্যাশীদের প্রতি অনুরোধ আগামী ২৫অক্টোবর ঐচ্ছিক বদলির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও পদযাত্রা পালন করে সরকার বাহাদুরের দৃষ্টি অাকর্ষণ করি। সকলেই একতাবদ্ধ হোন।এবার বদলি চালু না করতে পারলে বদলি প্রত্যাশীরা আজীবন এক জায়গায় শিকলে আবদ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবন পার করতে হবে।

মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম,
সদস্য সচিব,
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি বাস্তবায়ন কমিটি

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)