বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বাশিসের জাতীয়করণ সহ ঐচ্ছিক বদলি এবং উচ্চতর গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম
নিজস্ব প্রতিনিধি ||
বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ
বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা ও জাতীয়করণই শিক্ষক সমাজের একমাত্র প্রত্যাশা

২১তম বিশ্ব শিক্ষক দিবস জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ শনিবার বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (নজরুল) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুলতানা শফি। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সাঈদুল হোসেন সাহেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢা.বি সঙ্গীত বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মহসিনা আক্তার খানম (লীনা তাপসী), ঢা.বি ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, দৈনিক অর্থনীতির খবর এর সাবেক প্রধান সম্পাদক কামাল হোসেন মাহমুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোঃ মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশে ‘বিশ^ শিক্ষক দিবস’ সরকারিভাবে উদযাপিত না হওয়ায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- পৃথিবীর বহুদেশে এই দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়। অথচ বাংলাদেশে এর আনুষ্ঠানিকতা নেই। এর কারণ শিক্ষক সমাজের বোধগম্য নহে। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগি ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে- যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে শিক্ষকতা পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।

আলোচনা সভায় শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য ও বাংলাদেশে শিক্ষক নির্যাতন ও চাকুরিচ্যুতির বিষয় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। দীর্ঘ ১৫ বছরেও ২৫% ঈদ বোনাসের কোন পরিবর্তন নেই। ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা নিয়ে বিশ^ শিক্ষক দিবসের আলোচনায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ও অতিথিবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- শিক্ষকদেরকে ক্ষুধার্ত রেখে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ শিক্ষকদের ঐচ্ছিক বদলী এবং উচ্চতর গ্রেড/টাইম স্কেল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. সুলতানা শফি বলেন- শিক্ষকদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য ও জাতীয়করণের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতাসহ শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মো. মোহসিন আলী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মিজানুর রহমান, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. তোফাজ্জল হোসেন, সহ সভাপতি শাহানাজ সুলতানা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. আবুল হোসেন, সহকারী মহাসচিব জনাব মইনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলার সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সচিব ইয়াসমিন বেগম, কুমিল্লা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সচিব মো. আলমগীর হোসেন, অর্থ সচিব মো. আতিকুল ইসলাম,
প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, ধর্মীয় সচিব মো. শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)