দাবী পূরণে চাই ঐক্যবদ্ধ কঠোর আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৬:০২ এএম, ৮ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ০৬:০৩ এএম, ৮ আগস্ট ২০১৯

দাবী পূরণে চাই ঐক্যবদ্ধ কঠোর আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিনিধি ||
একটি দেশের উন্নয়নের মূল চাবি-কাঠি হচ্ছে শিক্ষা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অতীত-বর্তমান পর্যালোচনা করলে এ নির্মম সত্যটির প্রমাণ পাওয়া যায়। একজন মানুষ শিক্ষিত না হলে কৃষি, ব্যবসা, শিল্প-কারখানা কোথাও সে ভাল করে উঠতে পারবে না। আর এ শিক্ষার দায়িত্ব যারা কাঁধে নিয়েছেন, যাদের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে তারাই আজ বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত। এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে সরকারি, এমপিওভুক্ত এবং নন-এমপিও এ তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। সবাই যে যার অবস্থানে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। সমযোগ্যতা নিয়ে একই কাজ সবাই করছেন কিন্তু মূল্যায়িত হচ্ছেন তিনভাবে। সরকারি শিক্ষকগণ সর্বসাকুল্যে যে বেতন পাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকগণ পাচ্ছেন অর্ধেক আবার নন-এমপিও শিক্ষকগণ কিছুই পাচ্ছেন না। এছাড়াও অবসর গ্রহণের পর সরকারি শিক্ষক সমাজ যে সুবিধা ভোগ করবেন বেসরকারি শিক্ষক সমাজ সে সুবিধা পাবেন না। সরকারি শিক্ষকগণের মৃত্যু কিংবা অবসরোত্তর নিজের পরিবারের চলার ব্যবস্থা আছে যা বেসরকারিদের নেই। শিক্ষকগণের প্রতি এটি একটি মারাত্মক বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। আর এ বৈষম্য সৃষ্টি করেছে সরকার নিজেই সেই ৭১ এর পর থেকেই।

বর্তমান সরকার ইচ্ছে করলেই এ বৈষম্য দূর করে শিক্ষক সমাজের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারেন কিন্তু হচ্ছেনা। কর্তা ব্যক্তিরা যারা আছেন তারা এর বিরোধিতা করছেন অর্থের অসংকুলান দেখিয়ে অথচ ডিজি মহোদয় বলেছেন অর্থ কোন সমস্যা না, সমস্যা ব্যবস্থাপনায়। আমরা বরাবরই দেখেছি একমাত্র শিক্ষা বাদে বাকী সব খাতে কোন সময় অর্থের অনটন হয় না। ভাবতে অবাক লাগে যে দেশে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়, মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানো যায়, মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা করা যায়, যে দেশে সম্ভাব্য বহিঃশত্রুর কবল থেকে দেশকে বাঁচনোর জন্য তিনটি বাহিনীর পিছনে বিশাল একটি অংক ব্যয় করা হয়, যে দেশের আমলারা বিলাস বহুল বাড়ী এবং গাড়ীর স্বাদ উপভোগ করেন সে দেশের কারিগররা হাহাকার করে মরে! এতসব হচ্ছে কার অর্থে? এদেশের জনগণ বিভিন্ন প্রকার কর প্রদানের মাধ্যমে এ অর্থের যোগান দিচ্ছে অথচ তাদের সন্তানের কল্যাণে, ভবিষ্যত গঠনের কাজে ব্যয় করতে সরকারের ইচ্ছা শক্তির বড়ই অভাব।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই-আপনি মানবতার মা তথা আমাদেরও মা অথচ বেসরকারি শিক্ষক সমাজের ক্ষেত্রে আজ মানবতা কোথায়? জাতীয়করণ বেসরকারি শিক্ষক সমাজের ক্ষেত্রে শুধু দাবী নয় বরং হক তথা অধিকার। কারো হক কেটে অন্য কেউ খেলে সৃষ্টিকর্তা তাকে কখনই ক্ষমা করবেন না। সৃষ্টিকর্তা হাক্কুল্লাহ তথা নিজের হক লংঘিত হলে তার বান্দাকে ক্ষমা করতে পারেন কিন্তু হাক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হক লংঘিত হলে কখনই ক্ষমা করবেন না। আর যার সহযোগিতায় বান্দার হক লংঘিত হবে তিনিও ক্ষমা পাবেন না যতক্ষণ না বঞ্চিতরা ক্ষমা করে। একই রাষ্ট্রে সমযোগ্যতা নিয়ে একই কাজ করে কেহ পাবে ১০০ টাকা, কেহ পাবে ৫০ টাকা আবার কেহ কিছুই পাবে না এটা যৌক্তিক দিক থেকেই মানবাধিকার লংঘন যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নীতি বহির্ভূত।

বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসার শিক্ষকগণ আজ নিপীড়িত, নির্যাতিত, অবহেলিত। সমাজে কোন অবস্থান নেই, নেই শিক্ষাগুরুর মর্যাদা। বিভিন্ন অফিস-আদালতে বেসরকারি শিক্ষকদের মূল্যায়ন হয় না। এমনকি দোকানদাররা পর্যন্ত ধারে পণ্য দিতে চান না কেননা তারা আমাদের অবস্থা জানেন, আমরা সহজে শোধ দিতে পারি না।। অথচ প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতে শিক্ষকের মর্যাদা সবার উপরে। শুনেছি শিক্ষক রাস্তা দিয়ে হাঁটলে অনুমতি ছাড়া কেই তাকে ওভারটেক করেনা, অফিস-আদালতে
কিংবা দোকানে গেলে শত ভিড়ের মাঝেও শিক্ষকের চাহিদা আগে পূরণ করে। বেতন কাঠামো অনেক ভাল। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নির্বাচন করতে চাইলে কেউ প্রতিদ্বন্ধিতা করেনা। অথচ আমাদের দেশের চিত্র পুরোটাই উল্টো। এজন্য রাষ্ট্র দায়ী। রাষ্ট্র যদি শিক্ষকের মূল্যায়ন দিত তাহলে সর্বস্তরের মানুষের কাছে শিক্ষক সমাজ মূল্যায়িত হতেন। আমাদের সামনে রয়েছে ‘বে’ উপসর্গ যার মাধ্যমে গঠিত বেশিরভাগ শব্দের অর্থই খারাপ। মূলতঃ এ উপসর্গ দিয়ে গঠিত শব্দগুলো হচ্ছে-বেহুদা, বেশরম, বেলাজ, বেইজ্জত, বেঈমান, বেপর্দা, বেহায়া, বেআক্কেল প্রভৃতি । আমরা এ উপসর্গটি আর রাখতে চাই না। এর প্রভাবে আমরাও অনেকে কলুষিত হয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সরকার আমাদেরকে অনুদান দেয় এটা কি লজ্জার বিষয় নয়? উপরন্তু সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী মহোদয় হটাৎ করে কেন যে নিজের কাজ ফেলে শিক্ষকের পিছনে লাগতে গেলেন বুঝলাম না। তিনি আমাদের পিছনে গোয়েন্দা লাগানোর কথা বলেছেন। গোয়েন্দা বিভাগ কাদের জন্য তৈরি হয়েছে? শিক্ষক সমাজকে তিনি এভাবে হেয় প্রতিপন্ন না করলেও পারতেন।

ওদিকে একজন কর্মকর্তা বললেন যে, সরকার আমাদেরকে বোনাস দিতে চায় না, জোর করে নাকি দেয়া হচ্ছে! আজ উপর মহলে যারা আছেন তারা শিক্ষকের নিকট থেকেই শিক্ষা লাভ করে সেখানে গেছেন কিন্তু ভুলে গেছেন শিক্ষকের কথা। শিক্ষকের করুণ অবস্থার কথা অনেকেই জেনেও না জানার অভিনয় করছেন। তাদের কি কর্তব্য নয় এ সমাজের জন্য কিছু করা? জানি করবেন না কেননা এতে তাদের সুযোগ-সুবিধা কমে যেতে পারে এ ভয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয় শিক্ষা নিয়ে দেশ গড়তে চান। তার শ্লোগান “শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ”। আমরা যে মতাদর্শেরই হই না কেন আমার মনে হয় বেসরকারি শিক্ষক সমাজ এ শ্লোগানের সাথে একমত পোষণ করবেন। আমরা জানি তিনি নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতির জন্য সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি চান বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি অন্যতম রাষ্ট্র হিসেবে
গড়ে উঠুক। এজন্য অবশ্যই তিনি সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য কিন্তু যে অস্ত্র নিয়ে তিনি রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাচ্ছেন সে অস্ত্রের কারিগরের কথা আদৌ কি ভাবছেন? কারিগররা কি অবস্থায় আছেন, কেমন আছেন, তাদের অস্ত্র তৈরির মানসিকতা আছে কি-না কখনো কি সরাসরি খোঁজ-খবর নিয়েছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই তবে এতটুকু জানি যে বেসরকারি শিক্ষক সমাজের ভাগ্যটাই হচ্ছে যন্ত্রণার। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত থোক বরাদ্দ দিয়ে এ হতভাগা সমাজকে দিনাতিপাত করতে হয়েছিল। তারপর বিদ্যমান স্কেলের ৫০ শতাংশ থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে ১০০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে প্রাপ্তিটা কখনই সুখকর ছিলনা। পুলিশের লাঠি-গুতো খেয়ে, আমরণ অনশন করে, অবস্থান ধর্মঘট করে বেসরকারি শিক্ষক সমাজ এতদুর এগিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
বিগত ১০ বছরে বেসরকারি শিক্ষক সমাজের জন্য কি করেছেন? বাড়ীভাড়া ১০০০ টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা দিয়েছেন। সম্প্রতি ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন যার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। কিন্তু এটুকুতেই কি কারিগররা ভাল থাকবেন? পাশাপাশি ২০১০ সালের পর এ বছর হাজার তিনেক প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্ত করতে চাচ্ছেন। এর ফলাফল হবে ভয়াবহ, আকাশে-বাতাসে ধ্বণিত হবে বঞ্চিতদের আহাজারি যার প্রভাব পড়বে শিক্ষাক্ষেত্রে। এহেন পরিস্থিতিতে তিনি কিভাবে দেশ গড়বেন আমার বোধগম্য নয়।

প্রিয় শিক্ষক সমাজ, জন্মই যার আজন্ম পাপ তার আর চুপ করে বসে থাকার সময় নেই। এটাই উপযুক্ত সময়, মনে রাখবেন সুযোগ বার বার আসেনা। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, এমপিওভূক্ত কিংবা নন এমপিও যে যেখানে যে অবস্থায় থাকুন না কেন সব দাবী-দাওয়া বাদ দিয়ে বজ্র কন্ঠে জাতীয়করণের শ্লোগান তুলুন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে জেগে উঠেছিল বাংলার জনগণ, বর্বর পাকিস্তানী বাহিনীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল আমাদের এ মাতৃভূমি। আর আমরা এমপিওভূক্ত এবং নন-এমপিও শিক্ষক সমাজ জাতীয়করণ করাতে পারবো না? এটি মেনে নেয়া যায় না। এটি আমাদেরই ব্যর্থতা বলতে হবে। আজ থেকে এক যুগ পূর্বেই যদি আমরা সোচ্চার হতাম, ঐক্যবদ্ধভাবে দাবী আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তাম তাহলে আজকে এভাবে হাহাকার করতে হতোনা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্দোলন থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ। তাদের আন্দোলনের তীব্রতায় সরকার বাধ্য হয়ে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় এমনকি ঘর ছাড়া শুধু মাটিটাকেও সরকারি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ দূর্বার আন্দোলনই এ সফলতা এনে দিয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নেতৃত্ব দিবে কে? অবশ্য ইতোমধ্যে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা মিলে কয়েক ডজন সংগঠন তৈরি হয়েছে। এভাবে পুটি মাছ মারা গেলেও শোল মাছের দেখা পাওয়া যাবেনা। এছাড়াও অতীতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারা অনেকেই শিক্ষক সমাজের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে নিজের আখের গুছিয়েছেন। আমরা সেই অভিশপ্ত অধ্যায়ের সূচনা আর করতে চাই না। পরস্পরের দিকে কাঁদা না ছুড়ে আমাদের উচিৎ দলমত নির্বিশেষে একজন সৎ এবং দক্ষ নেতা নির্বাচন করা যদিও বিষয়টি বর্তমান অবস্থায় বেশ জটিল। আমরা সবাই চাই অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধ করতে, চাই ১০০% ঈদ বোনাস, চাই এমপিও সর্বোপরি জাতীয়করণ। জাতীয়করণ হলে অন্য কোন দাবী-দাওয়া উত্থাপনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যেভাবে আমরা আন্দোলন করছি বা করতে চাচ্ছি এভাবে কি আদৌ দাবী-দাওয়া আদায় হবে? বৃদ্ধ কৃষকের গল্পটি সবাই পড়েছেন নিশ্চয়ই এবং এখন হয়তো পড়াচ্ছেন যেখানে চার ছেলেকে একসাথে থাকার জন্য কঞ্চি দিয়ে উদাহরণ দিয়েছিলেন। আমাদেরর দাবী আদায়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে ভাগ হলে কর্তৃপক্ষ সহজেই দমিয়ে দিবে, ইতোপূর্বে এমন নজির অনেক আছে। আমাদের সবার চাওয়া তো এক ও অভিন্ন। তাহলে আমরা বিভিন্ন দলে ভাগ হচ্ছি কেন? যার মাধ্যমেই হোক না কেন লাভ হলে সবারই তো হবে কোন নির্দিষ্ট গ্রুপেরতো হবেনা। এখন আর বিচ্ছিন্ন থাকার সময় নেই। আমি স্কুল, কলেজ, মাদরাসার এমপিওভূক্ত এবং নন-এমপিও সকল স্তরের শিক্ষক কর্মচারীগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই -আসুন আমরা এক কাতারে দাঁড়াই। কাঁধে কাঁধ, হাতে হাত মিলিয়ে জাতীয়করণের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি, আদায় করি আমাদের অধিকার। আমাদের পরিবারে সর্বসাকুল্যে ১০ লক্ষাধিক সদস্য রয়েছে। এত বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠি যদি ন্যায্য দাবী আদায়ে ব্যর্থ হয় তাহলে চুরি পড়ে ঘরে বসে থাকাই শ্রেয়! সরকার অনুদান হিসেবে যখন যা মন চায় দিবে, যখন মন চায় কেটে নিবে, অহেতুক ঘরের কোণে বসে থেকে প্যাঁ প্যাঁ ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কোন লাভ নেই। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমি বলতে চাই-আপনারা আর চুপ করে থাকবেন না। কে কোন পদে থাকবেন সেটি বড় কথা নয় কিংবা কে কৃতিত্বের দাবীদার হবেন সেটা তুচ্ছ বিষয় বরং আমাদের দাবী আদায় হওয়াটাই বড় কথা। কেউ একজন আহ্বায়ক হয়ে সকলকে একত্রিত করে একই প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে দাবী আদায়ের কঠোর কর্মসূচী তৈরি করুন। আমরা শিক্ষক সমাজ যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে রাজী আছি। যত বাধাই আসুক না কেন প্রয়োজনে সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, বন্ধ হয়ে যাবে পাবলিক পরীক্ষা, অবস্থান নিবে রাজধানীতে, প্রয়োজনে আমরণ অনশন হবে, প্রাণ বিসর্জন দেয়া হবে, অচল করে দেয়া হবে রাজধানী। আমি মনে করি বেসরকারি শিক্ষক সমাজ আমার সাথে একমত পোষণ করবেন।

পরিশেষে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই দয়া করে শিক্ষকদের যোগ্য মর্যাদা দিন। শিক্ষকের পিছনে ব্যয় করলে বিফলে যাবে না, এটি প্রকৃতপক্ষে মূলধনী ব্যয়। শিক্ষক সমাজ খুশি থাকলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে, উন্নয়ন হবে জাতির সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। দয়া করে বেসরকারি শিক্ষক সমাজকে রাস্তায় নামাবেন না।

আইউব আলী
অধ্যক্ষ
চিলাহাটি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ
ডোমার, নীলফামারী।


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)