ঈদ-উল-আজহার পূর্বে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতনের সরকারি অংশ এবং বোনাস ৫ তারিখের মধ্যে উত্তোলনের দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ১০:২১ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯

প্রতীকী ছবি
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাস্তব জীবনে একটি সত্য ঘটনা হলো যথা সময়ে সরকারি অংশ বা ঈদ বোনাসের চেক সঠিক সময়ে উত্তোলন করতে না পারা। এমন কাহিনি চলতেছে বছরের পর বছর। তার কোন পরিবর্তন হলো না আজও। আজ শুধু একটি কথাই মনে হচ্ছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সত্যিই অবহেলিতই রয়ে গেলাম।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের স্বাভাবিক ভাবেই সরকারি অংশ বা বোনাসের চেক ছাড়তে বিলম্ব হয়। এটা প্রতি বছরের স্বাভাবিক ঘটনা। ইচ্ছামত তারিখ দিয়ে সরকারি অংশ বা বোনাস ছাড় হয়। এখানে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে ভাবার সময় নেই। দিতে হবে দিলাম এই নীতি অনুসরণ করা হয়। ডিজিটাল যুগে এটা কেমন করে মেনে নিব। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি অংশ বা বোনাস ছাড়ার তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে। এটা কি উন্নতির লক্ষণ নাকি পিছিয়ে পড়ার লক্ষণ?
জেনারেল শাখার জুন মাসের সরকারি অংশ তোলার উত্তোলনের তারিখ দেওয়া হলো ১৬ তারিখ। কারিগরি শাখায় জুন মাসের সরকারি অংশ তোলার উত্তোলনের তারিখ দেওয়া হয়েছে ২৫ তারিখ। এই প্রথার পরিবর্তন প্রয়োজন । ডিজিটাল বাংলাদেশে এই প্রাচীন প্রথা মেনে নেয়া যায় না।

ঈদের সময় তো আবার সরকারি অংশ বা বোনাস উত্তোলন করতে পারে না অনেক বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা । ঈদ বোনাস এবং সরকারি অংশ উত্তোলনের তারিখ যথা সময়ে ছাড় দেওয়ার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিকট।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এবারের জুলাই মাসের সরকারি অংশ এবং বোনাসের চেক আগামী ৫ তারিখের মধ্যে উত্তোলনের তারিখ দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। এই উত্তোলনের সময় যদি ৫ তারিখে করা যেত তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যেত।

আমরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তো সরকারি অংশ নামে অনুদানই পাই তাও আবার যথা সময়ে পাওয়া যায় না। সত্যিই খুব বেদনাদায়ক ঘটনা।

সরকারি চাকরি জীবিরা যেহেতু বেতন এবং বোনাস সঠিক সময়ে পায় তাহলে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নয় কেন?

সঠিক সময়ে কি বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি অংশ এবং বোনাসের চেক ছাড় দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় না?

স্বাভাবিক ভাবে প্রতিটি বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি অংশ দিয়ে সংসারের ভরনপোষণ করাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।এই সরকারি অংশ দিয়েই পরিবারের ভরণপোষণ করতে হয়। তারপর আবার সরকারি অংশ তুলতে বিলম্ব যা মরার ওপর খাঁড়া ঘা ।
আমরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জোর দাবি জানাচ্ছি সঠিক সময়ে সরকারি অংশ এবং ঈদ বোনাসের টাকা যাতে ৫ তারিখের মধ্যে উত্তোলন করতে পারি তার ব্যবস্থা করার।
আশা করি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা গণ এ বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

মোঃ আবুল হোসেন
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাশিস নজরুল
কেন্দ্রীয় কমিটি