এন আই খানকে মন্ত্রিত্ব দেয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৯:০৬ পিএম, ৫ জানুয়ারী ২০১৯ | আপডেট: ০৯:৪৩ পিএম, ৫ জানুয়ারী ২০১৯

নজরুল ইসলাম খান

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান নেপথ্য কারিগরি, ম্যানেজিং কমিটির হাত থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সরানো, মাধ্যমিকে বিনামূল্যের বই দেয়ার প্রধান পরিকল্পনাকারী, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ চালুসহ শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তিখাতে অসংখ্য নতুন পদ্ধতির প্রবর্তক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম বিশ্বস্ত সাবেক শিক্ষাসচিব মো. এন আই খানকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় দেশবাসী। দু:সময় অর্থাৎ বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালীন শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আবার ২০০৯ থেকে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ পযর্ন্ত প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এন আই খান অদ্যাবধি প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর হিসেবে অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। ক্ষমতার লোভহীন এন আই খান একাদশ শ্রেণি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্সে ভর্তিতে নতুন পদ্ধতি প্রচলন করে শিক্ষাখাতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকরির পরীক্ষায় আগাগোড়া ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট এন আই খান একজন বিচক্ষণ ও সৎ আমলা হিসেবে পুরো চাকরিজীবন কাটিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব ও সর্বশেষ তিনি শিক্ষাসচিব ছিলেন।

সরকারি-বেসরকারি হাজার হাজার শিক্ষককে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন যা অদ্যাবধি চালু রয়েছে। ২৬ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের নেপথ্য কারিগর এন আই খান প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কেবিনেট চালু করেছেন।

এন আই খান শুধু আমাদের যশোর নয় সারাদেশের সর্বস্তরের শিক্ষকদের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও সংস্কার দরকার। সেইসব সংস্কার ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রধান কারিগর হিসেবে এন আই খানকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হোক।

আবদুস সালাম সরকার , কেশবপুর, যশোর

সৌজন্যেঃ দৈনিক শিক্ষা

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)