‘এনআইডি সরকারের হাতে গেলে গণ্ডগোলের শঙ্কা’

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২২

এম সাখাওয়াত হোসেন (ফাইল ছবি)
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশন থেকে সরকারের হাতে গেলে গণ্ডগোলের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, সরকার হঠাৎ এনআইডিটা কেন নিতে চায়? এর কোনও বোধগম্য উত্তর নেই। আল্টিমেটলি এটা নিয়ে একটি গণ্ডগোল হবে।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকেদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় এ কথা বলেন সাখাওয়াত হোসেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মতবিনিময়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনারা অংশ নেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এনআইডি সরকার কেন নিতে চাচ্ছে সেটা পরিষ্কার নয়। এতগুলো বছরে একটি সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করেছে। এটা যদি আলাদা হয় ভবিষ্যতে ভোটার তালিকা নিয়ে কথা উঠবে। প্রশ্ন আসবে কোনটি ঠিক? ভোটার তালিকা ঠিক না এনআইডি ঠিক? আপনি এনআইডির নাম পরিবর্তন করলেন, বয়স পরিবর্তন করলেন, তখন ভোটার লিস্টের কী হবে? আল্টিমেটলি এটা নিয়ে একটি গণ্ডগোল হবে।

এনআইডি ও ভোটার তালিকা আলাদা রয়েছে বিশ্বের এমন একাধিক দেশের সঙ্গে তার কথা হয়েছে উল্লেখ করে সাবেক এই কমিশনার বলেন, যেসব দেশে এটা আলাদা আছে সেখানে ভোটার লিস্ট নিয়ে গণ্ডগোল হচ্ছে। ইসিকে বলেছি এই জায়গাটাতে সরকারকে বোঝাতে হবে। আল্টিমেটলি সরকার চাইলে- লেট দেম… তারা চাইলে আলাদা করে করতে পারে। ‘আমাদের করণীয় কী আছে’ এমনটি না বলে সরকারকে বোঝাতে হবে। সরকারকে বোঝালেও তো বোঝে। এই সরকারের সময়ও তো আমার ভোটার লিস্ট তৈরি করেছিলাম। এর মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছে। এখন তারা হঠাৎ এনআইডিটা কেন নিতে চায়? এর কোনও বোধগম্য উত্তর নেই।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বে থাকা সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের কথা বলা হয়। এর প্রেক্ষাপটে কয়েক দফা চিঠি চালাচালির পর ওই বছরের ২০ জুন সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম আইনানুগভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ইসিকে চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেয়। তবে শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। এরই মধ্যে গত ১০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২২’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। আইনটি সংসদে পাসের পর শেষ হবে সব প্রক্রিয়া।


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)