কুষ্টিয়াতে “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নন্দনতাত্ত্বিক ভাবনা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ১১:১৮ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৯

কুষ্টিয়াতে “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নন্দনতাত্ত্বিক ভাবনা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
মুখলেসুর রাহমান সুইট ||
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘রবীন্দ্রনাথের নন্দনতাত্ত্বিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১২টায় রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের ২০৬ নম্বর কক্ষে ইংরেজি বিভাগের আয়োজনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান তার লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে বিশ্বকবির নন্দনতাত্ত্বিক ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মূল্যায়ন করেন।
ড. মিজান বলেন, বাংলা ভাষায় ‘নন্দনতত্ত্ব’ শব্দটির প্রথম ব্যবহার করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ইংরেজি শব্দ এসথেটিক্স শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে ‘নন্দনতত্ত্ব’ শব্দটিকে গ্রহন করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের নন্দনতাত্ত্বিক ভাবনার প্রকাশ কবিতায় যেমন ঘটেছে তেমনি এ বিষয়ে তার মূল বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে ‘সাহিত্যের পথে’, ‘আধুনিক সাহিত্য’, ‘সাহিত্যের স্বরুপ’, ‘সৌন্দর্য ও সাহিত্য’ ও ‘সাহিত্যত্ত্ব’ ইত্যাদি প্রবন্ধে।
তিনি আরোও বলেন, রবি ঠাকুরকে নন্দনতাত্ত্বিক ভাবনায় রোমান্টিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিনি রোমান্টিক আন্দোলনের আঁচ লাগিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যে। ভাববাদের শরীরে লাগিয়েছিলেন রোমান্টিকতার প্রলেপ। কবিতাকে করে তুলেছিলেন অন্তরের অনুভূতি।

লিখিত প্রবন্ধে ড. মিজান আরো উল্লেখ করেন, রবীন্দ্রনাথের নন্দনতাত্ত্বিক সূত্র বিশ্লেষণ করলে এই ধারণার অবতারণা হয় যে তার শিল্পী-চৈতন্যে বিশ্বসংসার হচ্ছে আনন্দ বেদনার লীলাক্ষেত্র; তার সর্বত্রই চলছে সুন্দরের পরম লীলা। রবীন্দ্রনাথ উপলব্ধি করেছিলেন, সৌন্দর্সবোধ আপেক্ষিক; একজনের কাছে যা সুন্দর অন্যজনের কাছে তা সুন্দর নাও হতে পারে। রবীন্দ্রনাথ প্রকাশকেই কবিত্ব হিসেবে মেনেছেন। তিনি ভাবতেন অনুভূতির প্রকাশই সাহিত্য।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সালমা সুলতানার সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মেহের আলী, অধ্যাপক ড. মিয়া মোঃ রাশিদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ, ড. আসগর হোসাইন, সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার অধিকারী, লিটন বরুন শিকদার, ফেরদৌসী আক্তার, সাজ্জাদ হোসাইন জাহিদ প্রমুখ।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)