ঈদ আনন্দ নেই এমপিও ভুক্ত ও নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের মনে

শিক্ষা প্রতিদিন ডেস্ক
শিক্ষা প্রতিদিন ডেস্ক,
প্রকাশিত: ০৫:৫০ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ০৫:৫১ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৯

প্রতীকী ছবি
শিক্ষা প্রতিদিন ডেস্ক ||
পুরো দেশ যখন ঈদের আমেজে উদ্দেলিত তখন এ দেশেরই এম,পিও,ভুক্ত ও নন,এম,পিও শিক্ষকদের মনে একরাশ হতাশা ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই।একেতে ২৫% উৎসব ভাতার যন্ত্রনায় কাতর তার পরে আবার সাথে যুক্ত হয়েছে অপ্রাপ্তির দুঃসহ বেদনা।ব্যাংকের সর্বশেষ কার্যদিবস গত কালও লক্ষ লক্ষ বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী তাদের ২৫% উৎসব ভাতা তুলতে না পেরে বিষন্ন মনে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

স্বাধীন দেশে আজ বড়ই অবহেলিত শিক্ষক সম্প্রদায়! রাষ্ট্রের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় শিক্ষকদের প্রয়োজন যখন সকলের আগে, অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধার বেলায় ঠিক তার উল্টো চিত্র। শিক্ষকদের ভালো থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন পরে না, শুধু কাগজে কলমে সম্মানিত দেখানো, জাতিগড়ার কারিগর বিভিন্ন বিশেষনে বিশেষিত করেই যেনো রাষ্ট্রের সকল দায়িত্ব শেষ! বৈষম্যে বিভাজিত এ দেশের বৈষম্য যেনো শেষ হবার নয়! যত দিন অতিবাহিত হচ্ছে ততই যেনো ধ্বনি দরিদ্র বৈষম্য শুধু তরতর করে বেড়েই চলেছে! এটাই কি ছিলো এ দেশ স্বাধীনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য?

স্বাধীন বাংলার স্থপতি,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন দেশের সকল বৈষম্য দুর করতে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার মানসে স্বাধীনতাত্তোর সময়ে তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেছিলেন শুধু তাঁর দুরদর্শিতা দিয়ে। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন কোনো দেশ উন্নয়ন করতে হলে সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আগে উন্নতি করতে হবে।আর আজ দেশ যখন সমৃদ্ধ, অর্থনৈতিক ভাবে অনেক শক্তিশালী তবুও কেনো এদেশের সকল শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারী হচ্ছে না। এটা কি এ দেশ উন্নত করার পরিকল্পনা! নাকি সরকারের ছত্রছায়ায় গুটি কয়েক স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুখোশের আড়ালে এ দেশকে দুমরে মুচড়ে দেওয়ার পরিকল্পায় ব্যস্ত! এই সরল প্রশ্ন শুধু কি আমার মনেই নাকি এ দেশের ১৭/১৮ কোটি জনতার প্রশ্ন?

বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনার সফলতা অনেক তাতে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই, এমন কি পাঁচ লক্ষাধিক বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীর মনেও নাই। আর বেসরকারী শিক্ষকরা এটাও বিশ্বাস করে যে একমাত্র মাদার অব হিউম্যানেটি পারেন গোটা শিক্ষক সমাজের হতাশা দুর করে এ দেশের শিক্ষকদের মনে হাসি ফুটাতে। ২৫ % উৎসব ভাতা বর্তমান এ দেশের কোনো সেক্টরেই নেই! আছে শুধু মাত্র শিক্ষকদের যা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না। ১৬ বছর আগের সেই ২৫ % উৎসব ভাতা পরিবর্তন করে শতভাগ উৎসব ভাতা এখন সময়ের দাবি। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃ্ষ্টি আকর্ষন করে বলছি আপনি অতি সত্ত্বর বেসরকারী শিক্ষকদের ১০০ % উৎসব ভাতা চালুসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করে এ দেশের অবহেলিত শিক্ষকদের মনে হাসি ফুটানোর পাশাপাশি এ দেশকে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন করতে আপনার সহযোগীতা একান্ত কাম্য ।

মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন(আপন)
সহকারী প্রধান শিক্ষক,

সাধারন সম্পাদক,
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(নজরুল)
চট্টগ্রাম বিভাগ।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)