৪% কর্তন বাতিল না করলে ২মে থেকে অবিরাম ধর্মঘট ও তালা ঝুলানোর আল্টিমেটাম-বাশিস (নজরুল)

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

মোঃ নজরুল ইসলাম রনি
এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অতিরিক্ত ৪% কর্তনের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে বাতিল না করলে ০২মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবিরাম ধর্মঘট শুরু হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।

প্রায় ৫ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এপ্রিল/১৯ এর এমপিও থেকে বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের নামে ৬% এর পরিবর্তে ১০% কর্তনের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার না হলে আগামী ০২ মে/২০১৯ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবিরাম ধর্মঘট শুরু হবে বলে জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার মীরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (নজরুল) ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন-একটি অশুভ চক্রের কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের অতিরিক্ত ৪% কর্তন হবে বর্তমান সরকারের জন্য আত্মঘাতীমুলক।

সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে এ কারণে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম প্রিন্স বলেন- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিক্ষকরা নৌকার পক্ষে কাজ করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আশায় কিন্তু তা না করে শিক্ষকদের সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই অতিরিক্ত ৪% কর্তন করা হলে শিক্ষকরা আর ঘরে বসে থাকবে না। অবিলম্বে অতিরিক্ত কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিলে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সিরাজুল ইসলাম বলেন -যেখানে সীমাহীন বৈষম্যে জর্জরিত বেসরকারি শিক্ষক সমাজ সেখানে কোন যুক্তিতে অবসর ও কল্যাণে কোন রকম সুবিধা বৃদ্ধি না করে অতিরিক্ত ৪% কর্তনের সিদ্ধান্ত আসে? বিষয়টি অমানবিক বেআইনি।কর্তন বাতিল করে দ্রুত শিক্ষকদের পেনশনের ব্যবস্থা চালুর জোর দাবি জানান এই শিক্ষক নেতা।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী মামুন আল জাকীর, অতিরিক্ত মহাসচিব কামরুল খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব মোঃ মঈনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যক্ষ মুস্তফা জামান রানা, সহ-সভাপতি ড.ফারহানা খানম, লিয়াঁজো ফোরামের উপদেষ্টা মোঃ ফিরুজ মিয়া, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল আমিন শেখর, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (ঢাকা মহানগর) দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ ইব্রাহিম শিকারী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জনাব মোঃ আমির হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব সুব্রত কুমার ভট্টাচার্য্য, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক মোঃ বেলায়েত হোসেনসহ প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম রনি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)