শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকের প্রচেষ্টায় এনে দিতে পারে পরীক্ষায় সেরা সাফল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ০৮:৪৬ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯

মোঃ আবুল হোসেন
শিক্ষা ব্যবস্থায় সেরা সাফল্য পেতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অবিভাবক প্রত্যেকের সমান দায়িত্ব পালনে এনে দিতে পারে পাবলিক পরীক্ষায় সেরা সাফল্য। শিক্ষার্থীর একার পক্ষে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত করতে হবে তদারকি। সমস্যার সমাধানে থাকতে হবে সবাইকে জাগ্রত। কোন শিক্ষার্থী যদি কোন প্রশ্নের উত্তর বুঝতে না পারে তাহলে তার লেখা পড়ার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হবে। লেখা পড়ার মনোযোগ হারিয়ে ফেলবে। এদিকে শিক্ষক এবং অবিভাবকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। শিক্ষার্থীর সমস্যা কোথায় তা খুঁজে বের করতে হবে? কোন মতেই শিক্ষার্থীদেরকে এমন সমস্যায় ফেলে রাখা যাবে না যা শিক্ষার্থীরা বুঝতে অক্ষম। শিক্ষার্থীদের কঠিন সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিক সমাধান দিয়ে তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া করার আগ্রহ বেড়ে যাবে। বাজে অভ্যাস থাকলে শিক্ষার্থীরা তা পরিহার করে চলবে।

শিক্ষার্থীর খারাপ অভ্যাসের ওপর শিক্ষক এবং অবিভাবকদেরকে সচেতন থাকতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থী সকাল ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে থাকে কিন্তু বাকি সময়টুকু থাকে অবিভাবকের তত্ত্বাবধানে। এক্ষেত্রে অবিভাবক গণ যদি সচেতন হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল হতে বাধ্য।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যদি প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর অবিভাবক সমাবেশ আয়োজন করা হয় তাহলে শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। লেখা পড়ার মান বৃদ্ধি পাবে। ভালো ফলাফল অর্জন করতে শিক্ষকদের যথেষ্ট ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিটি পাঠের বিষয় বস্তু সহজ এবং সাবলীল ভাষায় ব্যাখ্যা করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠের বিষয় বস্তু বুঝতে পারে। আর বিষয় বস্তু শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারলে লেখা পড়ার আগ্রহ বেড়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলের দিকে ধাবিত হবে।

প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার আগে যদি শিক্ষকের অনুপাতে শিক্ষার্থী ভাগ করে গাইড টিচার নিয়োগ করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়ায় সবচেয়ে মনোযোগী হবে। ফলে শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় ঝরে পড়া রোধ হবে। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় আশানুরূপ ফলাফল অর্জন হবে। বর্তমানে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাবলিক পরীক্ষার আগে গাইড টিচার নিয়োগ করা হয়। তাদের পূর্বের ফলাফলের চাইতে বর্তমান ফলাফল ভালো হচ্ছে। তাই
আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

লেখকঃ
মোঃ আবুল হোসেন
সিনিয়র যুগ্ম -মহাসচিব
বাশিস, কেন্দ্রীয় কমিটি

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)