বায়তুল মোকাররমে হেফাজত-আ.লীগ-পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ

আজিজুর রহমান
আজিজুর রহমান,
প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ০৪:৫৩ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২১

ছবি: সংগৃহীত
জুমার নামাজের পর পরই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন মুসল্লিরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করলে এ সংঘর্ষ বাধে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজের পরপরই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা গেটের ভেতরে থাকতেই জুতা হাতে নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী স্লোগান শুরু করে। এক পর্যায়ে গেটের সামনে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা।

পুলিশকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ধাওয়া-পাল্টা চলছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ উপলক্ষ্যে যেনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায়া ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।

পল্টন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বায়তুল মোকাররম এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রবেশ অনুমতি দেয়া হচ্ছিল। কাউকে সন্দেহ হলে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের সামনে অবস্থান করছিল র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের ভেতরেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) মতিঝিলে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ। এতে অংশ নেন ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানি। বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় দুপুর ১২টার পর তাকে আটক করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অভিভাবকদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।


পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)